Friday, May 27, 2011

Fwd: [Ekdin] এই নজরদারির প্রস্তাব নিয়ে কী মত আপনাদের ?...



---------- Forwarded message ----------
From: Guruchandali Kolikaal <notification+kr4marbae4mn@facebookmail.com>
Date: 2011/5/27
Subject: [Ekdin] এই নজরদারির প্রস্তাব নিয়ে কী মত আপনাদের ?...
To: Palash Biswas <palashbiswaskl@gmail.com>


Guruchandali Kolikaal posted in Ekdin.
এই নজরদারির প্রস্তাব নিয়ে কী মত আপনাদের ?  ----------------------------------------------------------------------------------------------নজরদারির উপর নজরদারি। সামাজিক নজরদারি। নজরদারি শুধুমাত্র একটি আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়। সেরকম হলে ব্যবস্থাটি অতি-আমলাতান্ত্রিকতায় ভেঙে পড়তে বাধ্য। কেবলমাত্র সরকারি অতি-নিয়ন্ত্রণ দুর্নীতি রুখতে সমর্থ হয়না। বরং ছোটো সংস্থাগুলিই আমলাতান্ত্রিকতার শিকার হয়। একটি প্রামাণ্য পেপারে দেখা যাচ্ছেঃ  Over-regulation is yet another problem. Small entrepreneurs are the typical victims of corrupt factory inspectors; given the narrow margins on which they operate, the bribes can significantly reduce their prospects of succeeding. The prospect that an inspector could come and shut them down soon after they spend their hard-earned money to buy a small machine, makes them reluctant to invest in the first place.  One consequence of the fear of the regulator is that small firms do not register themselves, making them ineligible for formal loans and other publicly supplied inputs (such as power supply).  সূত্রঃ http://www.facebook.com/l/20352OOJRbUh5sY_oQI3J31DwaA/econ-www.mit.edu/files/2490  তাই সাধারণ মানুষের ভূমিকা শুধু অভিযোগ জানানোতেই সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। বরং নজরদারির প্রক্রিয়াটির উপর নজর রাখতে সামগ্রিকভাবে সাধারণ মানুষকে অংশীদার করা একান্ত প্রয়োজন। এর জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি গ্রহণ করা যেতে পারেঃ  ক। যথাযথ অর্থনৈতিক অডিট, এবং তার ফলাফল জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা। বহু টাকা আমলাতান্ত্রিক গাফিলতিতে ব্যবহৃত হয়না, বা ভুল কাজে ব্যবহার করা হয়। যথাযথ অডিট করলে দুর্নীতি ধরা পড়ে, কিন্তু দুর্নীতি ধরা পড়লেও পরবর্তী পদক্ষেপে অনেক সময় খামতি থেকে যায়। টাকা ব্যবহার না করার অদক্ষতা তো সাধারণভাবে চোখ এড়িয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। সামাজিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকলে এগুলি কারো না কারো চোখে পড়বেই। এবং সে নিয়ে চাপ তৈরি হবে।  খ। একই ভাবে কী কী অভিযোগ লিপিবদ্ধ হল, এবং তার পর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, সেগুলিও সামাজিকভাবে প্রকাশ করা প্রয়োজন। অভিযোগ-গ্রহণকারী সেল নিজেই যেন আমলাতন্ত্রের শিকার না হয়, সেটা দেখার জন্যও এটা প্রয়োজন।  গ। ই-গভর্নেন্সের জন্য যে তথ্যাদি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে চালাফেরা করবে, একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে তার বেশিরভাগ অংশ (যা গোপনীয় নয়), জনতার জন্য উন্মুক্ত করা হোক। সেখানেও মতামত নেবার ব্যবস্থা করা হোক। কোনো পুকুর চুরি নজরদারি এড়িয়ে গেলে অন্য কারো না কারো নজরে পড়বেই। একই ভাবে যে কোনও দপ্তরের সামগ্রিক দক্ষতাও জনতার নজরদারির মধ্যে থাকবে।  ঘ। ইন্টারনেট এবং বিশেষ করে সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করা। প্রতিটি সরকারি দপ্তর এবং সম্ভব হলে প্রতিটি জনপ্রতিনিধি ইন্টারনেট ব্যবহার করুক। এবং মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুক। যে যোগাযোগ দ্বিমুখী। এটা নতুন কিছু নয়। উদাহরণস্বরূপঃ এক, দিল্লি পুলিশ, এমসিডি এরা নিজেদের নামে ফেসবুক খুলে দিয়েছে। লোকে সেখানে নিজেদের গল্প জানাচ্ছে। রাস্তায় কোথায় গারবেজ সাফ হয় নি, কোথায় কোন পুলিশ হেলমেট না পরেই স্কুটার চালাচ্ছে, কোন পুলিশের বাইকের নাম্বারপ্লেট নেই, লোকে ফটো তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে দিচ্ছে। সব কিছুর যে তাতে সমাধান হচ্ছে তা নয়, কিন্তু পাবলিক ভিজিলেন্সে কিছু দোষী পুলিশ শাস্তি পাচ্ছে, দোষী এমসিডির অফিসার শোকজড হচ্ছে। দুই, বিহারে একটি অসাধারণ ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। যা একই সংগে তথ্য সংগ্রহের আকর, এবং জনতার দরবার। লিংকঃ http://www.facebook.com/l/20352EMZZqwFWW1AsBWST0gni4Q/cm.bih.nic.in  এই ব্যবস্থাটিই আরও বড়ো আকারে এবং সুসংহত ভাবে ব্যবহার করা হোক। ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের অসীম ক্ষমতা আজকের দিনে। এতে করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তরুণ প্রজন্মের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে।  ঙ। প্রশাসন-জনসাধারণের মধ্যে দ্বিমুখী যোগাযোগ স্থাপন। সামগ্রিকভাবে জনতার অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করতে গেলে সব মিলিয়ে এই দ্বিমুখী যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারে উদ্যোগ নিতেই হবে।  প্রয়োজন, সরকার, প্রশাসন ও জনগণকে "মুখোমুখি' এনে দেবার প্ল্যাটফর্ম বানানোর, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে। ভোটের আগে যেমন নেতা, মন্ত্রীদের "মুখোমুখি' লাইভ অনুষ্ঠানে আনা হয়, এধরণের অনুষ্ঠান নিয়মিত করা হোক, সরকারি, বেসরকারি সব মিডিয়াতে। টিভিতে , রেডিওতে, ইন্টারনেটে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী, নেতা, আমলা, পুলিশ অফিসার সবাই আসবেন, উত্তর দেবেন, শুধু উপস্থাপকের প্রশ্নেরই না, লাইভ ফোন কল নেওয়া হবে। লোকে আগে থেকে মেইল করেও প্রশ্ন জানাতে পারেন, তার উত্তর ও দিতে হবে। টিভি চ্যানেলগুলি অতি অবশ্যই এই ব্যাপারে উৎসাহ দেখাবে। আর ইন্টানেট ফোরামে হলে ব্যাপারটি আর সহজ। পুরো জিনিসটিই একটি আবশ্যিক সরকারি কর্তব্য হিসেবে পালন করা হোক। এবং নিয়মিতভাবে।  শুধু মিডিয়াই না, স্থানীয় স্তরে জনতার দরবার জাতীয় কার্যক্রমগুলিকেও একই রকম উদ্যোগ নিয়ে চালু করা হোক।  চ। লোক আয়ুক্তকে পুনরুজ্জীবিত করা হোক। দুহাজার দশ সালের একটি সংবাদপত্রের রিপোর্টে পাওয়া যাচ্ছেঃ  কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে ২০০৬ সালের ফেব্র¦য়ারি মাসে এই আইন কার্যকর কর। রাজ্যের প্রথম লোকায়ুক্ত হিসাবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ করা হয়। প্রথমে লোকায়ুক্তের কাজ শুরু হয় ওই বিচারপতির বাড়িতে। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে ভবানী ভবনে লোকায়ুক্তের অফিস তৈরি হয়। অফিস তৈরি হলেও তাতে কখনও পর্যাপ্ত কর্মী ছিল না। তবুও কাজ চলছিল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্র¦য়ারি অবসর নেন। এর পর আর কোনও বিচারপতি নিয়োগ না হওয়ায় প্রায় দু'বছর লোকায়ুক্তের কাজকর্ম বন্ধ।  জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিচারের জন্য লোক আয়ুক্তে জোর দেওয়া হোক। এতে করে জনপ্রতিনিধিদের উপর জনতার নজরদারি থাকবে।  পাঁচ। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। প্রশাসনের উপর সরাসরি রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধ করা প্রয়োজন। এটি একটি রাজনৈতিক কর্তব্য। কিন্তু অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কোনো রাজনৈতিক নেতা যেন দলবল নিয়ে পুলিশের উপর চাপ না তৈরি করতে পারেন, সরকারি আধিকারিকদের উপর প্রভাব না ফেলতে পারেন, সেটা দেখা অবশ্যকর্তব্য।  এই ব্যবস্থাগুলিকে একই সঙ্গে চালাতে পারলে অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি প্রশাসন দক্ষতর হয়ে উঠবে। নির্বাচন কমিশনের যেমন এই একই প্রশাসনকে খুব তাড়াতাড়ি দক্ষ করে তুলতে খুব বেশি সময় লাগে নি।---  http://www.facebook.com/l/20352At22kirbZH8UmaF7vOa7bA/www.guruchandali.com/?portletId=20&porletPage=1&pid=wpgc:///2011/05/24/1306252980000.html
Guruchandali Kolikaal 6:40pm May 27
এই নজরদারির প্রস্তাব নিয়ে কী মত আপনাদের ?
----------------------------------------------------------------------------------------------নজরদারির উপর নজরদারি। সামাজিক নজরদারি। নজরদারি শুধুমাত্র একটি আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়। সেরকম হলে ব্যবস্থাটি অতি-আমলাতান্ত্রিকতায় ভেঙে পড়তে বাধ্য। কেবলমাত্র সরকারি অতি-নিয়ন্ত্রণ দুর্নীতি রুখতে সমর্থ হয়না। বরং ছোটো সংস্থাগুলিই আমলাতান্ত্রিকতার শিকার হয়। একটি প্রামাণ্য পেপারে দেখা যাচ্ছেঃ

Over-regulation is yet another problem. Small entrepreneurs are the typical victims of corrupt factory inspectors; given the narrow margins on which they operate, the bribes can significantly reduce their prospects of succeeding. The prospect that an inspector could come and shut them down soon after they spend their hard-earned money to buy a small machine, makes them reluctant to invest in the first place.

One consequence of the fear of the regulator is that small firms do not register themselves, making them ineligible for formal loans and other publicly supplied inputs (such as power supply).

সূত্রঃ http://www.facebook.com/l/20352OOJRbUh5sY_oQI3J31DwaA/econ-www.mit.edu/files/2490

তাই সাধারণ মানুষের ভূমিকা শুধু অভিযোগ জানানোতেই সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। বরং নজরদারির প্রক্রিয়াটির উপর নজর রাখতে সামগ্রিকভাবে সাধারণ মানুষকে অংশীদার করা একান্ত প্রয়োজন। এর জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি গ্রহণ করা যেতে পারেঃ

ক। যথাযথ অর্থনৈতিক অডিট, এবং তার ফলাফল জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা। বহু টাকা আমলাতান্ত্রিক গাফিলতিতে ব্যবহৃত হয়না, বা ভুল কাজে ব্যবহার করা হয়। যথাযথ অডিট করলে দুর্নীতি ধরা পড়ে, কিন্তু দুর্নীতি ধরা পড়লেও পরবর্তী পদক্ষেপে অনেক সময় খামতি থেকে যায়। টাকা ব্যবহার না করার অদক্ষতা তো সাধারণভাবে চোখ এড়িয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। সামাজিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকলে এগুলি কারো না কারো চোখে পড়বেই। এবং সে নিয়ে চাপ তৈরি হবে।

খ। একই ভাবে কী কী অভিযোগ লিপিবদ্ধ হল, এবং তার পর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, সেগুলিও সামাজিকভাবে প্রকাশ করা প্রয়োজন। অভিযোগ-গ্রহণকারী সেল নিজেই যেন আমলাতন্ত্রের শিকার না হয়, সেটা দেখার জন্যও এটা প্রয়োজন।

গ। ই-গভর্নেন্সের জন্য যে তথ্যাদি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে চালাফেরা করবে, একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে তার বেশিরভাগ অংশ (যা গোপনীয় নয়), জনতার জন্য উন্মুক্ত করা হোক। সেখানেও মতামত নেবার ব্যবস্থা করা হোক। কোনো পুকুর চুরি নজরদারি এড়িয়ে গেলে অন্য কারো না কারো নজরে পড়বেই। একই ভাবে যে কোনও দপ্তরের সামগ্রিক দক্ষতাও জনতার নজরদারির মধ্যে থাকবে।

ঘ। ইন্টারনেট এবং বিশেষ করে সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করা। প্রতিটি সরকারি দপ্তর এবং সম্ভব হলে প্রতিটি জনপ্রতিনিধি ইন্টারনেট ব্যবহার করুক। এবং মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুক। যে যোগাযোগ দ্বিমুখী। এটা নতুন কিছু নয়। উদাহরণস্বরূপঃ এক, দিল্লি পুলিশ, এমসিডি এরা নিজেদের নামে ফেসবুক খুলে দিয়েছে। লোকে সেখানে নিজেদের গল্প জানাচ্ছে। রাস্তায় কোথায় গারবেজ সাফ হয় নি, কোথায় কোন পুলিশ হেলমেট না পরেই স্কুটার চালাচ্ছে, কোন পুলিশের বাইকের নাম্বারপ্লেট নেই, লোকে ফটো তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে দিচ্ছে। সব কিছুর যে তাতে সমাধান হচ্ছে তা নয়, কিন্তু পাবলিক ভিজিলেন্সে কিছু দোষী পুলিশ শাস্তি পাচ্ছে, দোষী এমসিডির অফিসার শোকজড হচ্ছে। দুই, বিহারে একটি অসাধারণ ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। যা একই সংগে তথ্য সংগ্রহের আকর, এবং জনতার দরবার। লিংকঃ http://www.facebook.com/l/20352EMZZqwFWW1AsBWST0gni4Q/cm.bih.nic.in

এই ব্যবস্থাটিই আরও বড়ো আকারে এবং সুসংহত ভাবে ব্যবহার করা হোক। ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের অসীম ক্ষমতা আজকের দিনে। এতে করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তরুণ প্রজন্মের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে।

ঙ। প্রশাসন-জনসাধারণের মধ্যে দ্বিমুখী যোগাযোগ স্থাপন। সামগ্রিকভাবে জনতার অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করতে গেলে সব মিলিয়ে এই দ্বিমুখী যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারে উদ্যোগ নিতেই হবে।

প্রয়োজন, সরকার, প্রশাসন ও জনগণকে "মুখোমুখি' এনে দেবার প্ল্যাটফর্ম বানানোর, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে। ভোটের আগে যেমন নেতা, মন্ত্রীদের "মুখোমুখি' লাইভ অনুষ্ঠানে আনা হয়, এধরণের অনুষ্ঠান নিয়মিত করা হোক, সরকারি, বেসরকারি সব মিডিয়াতে। টিভিতে , রেডিওতে, ইন্টারনেটে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী, নেতা, আমলা, পুলিশ অফিসার সবাই আসবেন, উত্তর দেবেন, শুধু উপস্থাপকের প্রশ্নেরই না, লাইভ ফোন কল নেওয়া হবে। লোকে আগে থেকে মেইল করেও প্রশ্ন জানাতে পারেন, তার উত্তর ও দিতে হবে। টিভি চ্যানেলগুলি অতি অবশ্যই এই ব্যাপারে উৎসাহ দেখাবে। আর ইন্টানেট ফোরামে হলে ব্যাপারটি আর সহজ। পুরো জিনিসটিই একটি আবশ্যিক সরকারি কর্তব্য হিসেবে পালন করা হোক। এবং নিয়মিতভাবে।

শুধু মিডিয়াই না, স্থানীয় স্তরে জনতার দরবার জাতীয় কার্যক্রমগুলিকেও একই রকম উদ্যোগ নিয়ে চালু করা হোক।

চ। লোক আয়ুক্তকে পুনরুজ্জীবিত করা হোক। দুহাজার দশ সালের একটি সংবাদপত্রের রিপোর্টে পাওয়া যাচ্ছেঃ

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে ২০০৬ সালের ফেব্র¦য়ারি মাসে এই আইন কার্যকর কর। রাজ্যের প্রথম লোকায়ুক্ত হিসাবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ করা হয়। প্রথমে লোকায়ুক্তের কাজ শুরু হয় ওই বিচারপতির বাড়িতে। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে ভবানী ভবনে লোকায়ুক্তের অফিস তৈরি হয়। অফিস তৈরি হলেও তাতে কখনও পর্যাপ্ত কর্মী ছিল না। তবুও কাজ চলছিল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্র¦য়ারি অবসর নেন। এর পর আর কোনও বিচারপতি নিয়োগ না হওয়ায় প্রায় দু'বছর লোকায়ুক্তের কাজকর্ম বন্ধ।

জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিচারের জন্য লোক আয়ুক্তে জোর দেওয়া হোক। এতে করে জনপ্রতিনিধিদের উপর জনতার নজরদারি থাকবে।

পাঁচ। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। প্রশাসনের উপর সরাসরি রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধ করা প্রয়োজন। এটি একটি রাজনৈতিক কর্তব্য। কিন্তু অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কোনো রাজনৈতিক নেতা যেন দলবল নিয়ে পুলিশের উপর চাপ না তৈরি করতে পারেন, সরকারি আধিকারিকদের উপর প্রভাব না ফেলতে পারেন, সেটা দেখা অবশ্যকর্তব্য।

এই ব্যবস্থাগুলিকে একই সঙ্গে চালাতে পারলে অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি প্রশাসন দক্ষতর হয়ে উঠবে। নির্বাচন কমিশনের যেমন এই একই প্রশাসনকে খুব তাড়াতাড়ি দক্ষ করে তুলতে খুব বেশি সময় লাগে নি।---

http://www.facebook.com/l/20352At22kirbZH8UmaF7vOa7bA/www.guruchandali.com/?portletId=20&porletPage=1&pid=wpgc%3A%2F%2F%2F2011%2F05%2F24%2F1306252980000.html

View Post on Facebook · Edit Email Settings · Reply to this email to add a comment.



--
Palash Biswas
Pl Read:
http://nandigramunited-banga.blogspot.com/

No comments: